মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
১ হাজার ৬০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে ২ ইয়াবাকারবারীর প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ২ মাস করে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী বুধবার ২৯ ডিসেম্বর তাঁর আদালতে এ রায় প্রদান করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো : ২০১৮ সালের ৩ জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে আহমদ হোসেনের পুত্র মোঃ হাসানের নাভীর নীচে তলপেটে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো কাগজের টোঙ্গার ভিতর থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা টেবলেট এবং মৃত হাকিম আলীর পুত্র মোঃ সাদ্দামের ডান হাত থেকে ফেলে দেওয়া শপিং ব্যাগের ভিতর থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ২ জন ইয়াবাকারবারী ও আবদুস সালামের পুত্র নুরুল ইসলাম মানিক সহ মোট ৩ জনকে আসামি করে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের তৎকালীন পরিদর্শক আবদুল মালেক তালুকদার বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার চকরিয়া থানার মামলা নম্বর : ৩/২০১৮ ইংরেজি এবং জিআর মামলা নম্বর : ৩৯৩/২০১৮ (চকরিয়া)।ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ)/২৫।
মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক শেষে বিজ্ঞ সিজেএম আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) ধারার সারণীর ৯ (খ) ধারায় আসামী মোঃ হাসান ও মোঃ সাদ্দামকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো ২ মাস করে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।